কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের বেহাল দশা : যাত্রীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার : কচুয়া উপজেলার কচুয়া বিশ্বরোড ফায়ার সার্ভিস থেকে মতলবের কাশিমপুর পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৮ কি.মি. এ সড়কটি কচুয়ার সাথে পাশর্^বর্তী মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সৃষ্টি করেছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-কাশিমপুর বাস চলাচল করছে। এছাড়া তিন উপজেলার অসংখ্য যাত্রী সাধারণ, যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত অটোবাইক চলাচল করছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দু বছর পূর্বে সড়কটির সংস্কার করা হলেও এখন ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে পরিণত হয়েছে। এ বর্ষা মৌসুমে এসে সড়কটির কান্দারপাড়, বালিয়াতলী, মনপুরা, বাতাবাড়িয়া, গুলবাহার বাজার, বড়ইগাঁও, দোঘর ঈদগাহ এলাকা পর্যন্ত অন্তত ৩০টি স্থানে সড়কের আস্তর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার বৃষ্টিপাতে পানি ও কাদায় সড়কটি একাকার হয়ে যায়, যা এখন ক্রমেই চলাচলের অনুপযোগী হতে চলছে। বিশেষ করে গুলবাহার বাজারের অংশে সড়কের আস্তর উঠে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের এ বেহাল দশায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দে ভরা। গুলবাহার এলাকার জনগণ জানান, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন সড়কের গুলবাহার বাজার অংশে বড় গর্ত হয়ে পানি জমে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে।

অপরদিকে বড়ইগাঁও ও দোঘর ঈদগাহ এলাকায় বড় গর্ত হওয়ায় সিএনজি থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হয়। অথচ এর সমাধানকল্পে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো পদক্ষেপ। সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বশীল উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াসী উদ্দিন আহমেদের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘব করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Related posts

Leave a Comment